মাঠজুড়ে ধান পেকে থাকলেও শ্রমিক না পাওয়ায় সময় মতো ধানকাটা যাচ্ছে না। কোথাও কোথাও স্বেচ্ছাশ্রমে স্থানীয়রা অনেক কৃষকের ধান কেটে দিলেও বেশীরভাগ জায়গায় রয়েছে শ্রমিক সংকট। করোনাভাইরাসের কারণে অন্যান্য জেলা থেকে কুমিল্লায় এবার ধানকাটা শ্রমিকও এসেছে কম।
এ জেলার দিগন্তজোড়া মাঠে এখন দেখা যাচ্ছে পাকা ধান। চলছে ধান কাটার ভরা মৌসুম। জেলায় আবাদকৃত জমির ধান কাটতে প্রতিবছর উত্তরবঙ্গ থেকে হাজার হাজার শ্রমিক আসলেও চলতি বছর করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন থাকায় শ্রমিকরা আসতে পারছেন না।
স্থানীয় যুবক ও রাজনৈতিক কর্মীরা কোথাও কোথাও স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কেটে দিলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এ অবস্থায় ধান কাটা নিয়ে সঙ্কটের পাশাপাশি এর ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানান কৃষকরা। এসব সমস্যার দ্রুত সমাধান পেতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ সুরজিত চন্দ্র দত্ত বলেন, ‘সময় মতো ধান কাটতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিক আনার পাশাপাশি মেশিন দিয়ে ধান কাটার কাজে কৃষককে সহযোগিতা করা হচ্ছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে দ্রুতই বাম্পার ফলনের ধান ঘরে তোলা যাবে।’